কালো জিরা – Black Seed – বাছাইকৃত ধুলা বালি মুক্ত।
কালো জিরার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম,কালো জিরার উপকারিতা >>
১. বুকের দুধ : অনেক মা ও বোনেরা রয়েছে যাদের সন্তান হওয়ার পর বুকে দুধ আসে না। দুধ আসে তবে হয়তোবা অনেক কম আসে জেটা সন্তানকে সন্তুষ্টি করতে পারেনা। তার জন্য সাধারণত বুকের দুধ বৃদ্ধিতে কালোজিরার উপকারিতা অনেক বেশি। বলতে পারেন বুকের দুধ বৃদ্ধিতে কালোজিরা এক মহা ঔষধ।
২. দৈহিক ও মানসিক : সাধারনত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছোটবেলা থেকেই কালোজিরা সেবন করতেন। তবে আমি জোর দিয়ে বলছি না আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সবচেয়ে বেশি ভালো জানেন। কালোজিরা দৈহিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক প্রচুর পরিমাণে।তাই ছোটবেলা থেকেই কালোজিরা সেবন করা উচিত কমপক্ষে দুই বছরের ঊর্ধ্বে সন্তানদের কালোজিরা খাওয়ালে কোন সমস্যা হবে না। বরং কালোজিরার গুরুত্ব এবং গুনাগুন এত বেশি যে, সেই ছোট সন্তান বড় না হতেই তার শারীরিক গঠন ও শরীরের বিভিন্ন উপকার হবে ইনশাল্লাহ।
৩. মধুর সাথে কালোজিরার উপকারিতা : আপনি যদি কালো জিরা খেয়ে আরো বেশি উপকার পেতে চান তাহলে মধুর কোন বিকল্প নেই। কারণ কালোজিরাতে একদিকে শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। অন্যদিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধু খেতে ভালো বাসতেন।হয়তোবা এ বিষয়টি আপনারা অনেকে জানতে পারেন তাই মধুর সাথে আপনি কালোজিরা মিশিয়ে সেবন করার জন্য আপনার শরীরের আরো অনেক বেশি উপকার পাবেন ইনশাআল্লাহ। তাই মধুর সাথে কালোজিরার উপকারিতা আরো অনেক বেশি পরিমাণে পাবেন ইনশাল্লাহ।
৪. সর্দি জ্বর : আমাদের অনেকের সর্দি এবং জ্বর খুবই সাধারণ একটি রোগ যেটা প্রায় সকলের মাঝেই দেখা যায়। আপনার এই সর্দি জ্বর এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কালোজিরার গুনাগুন অপরিসীম।তাই আপনি সর্দি অথবা যোহর যেটাই হোক না কেন এই রোগে আক্রান্ত হলে, ১ টেবিল চা চামচ তুলসী পাতার রসের সাথে এক চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে খেলেও সর্দি, কাশি এবং জ্বর এই ধরনের বিভিন্ন রোগ থেকে আপনি মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ।
৫. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ : কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে বলা শুরু করলে এর উপকারের কথা শেষ করা যাবে না। এমনকি এই কালোজিরার জন্য আপনি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ আপনার কাছে থাকবে ইনশাল্লাহ। তবে এই কথা থেকে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না বোঝার জন্য কথাটি বললাম।আপনি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য, এক চামচ মধু এবং এক চামচ কালোজিরা মিশিয়ে প্রতিদিন দিনে দুই থেকে তিনবার সেবন করবেন। আশা করি এর ফলে আপনি আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে খুব সহজে আনতে পারবেন এবং যেটি কিনা কালোজিরার বড় একটি উপকারিতা।
৬. পাইলস সমস্যা : বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে পাইলস সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। আপনাকে বললাম না কালোজিরার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না! এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি সাধারণভাবে এক টেবিল চামচ মাখন এবং এক টেবিল চামচ কালোজিরার তেল ও এক টেবিল চামচ তিলের তেল মিশিয়ে সকালে নিয়মিত খালি পেটে খেতে হবে অন্তত ১-২ মাস। যদি আপনি নিয়মিত নিয়ম মেনে সঠিকভাবে এটি কন্টিনিউ করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনার পাইলস সমস্যা থাকলে দূর হবে ইনশাআল্লাহ।
৭. শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগ : সাধারণভাবে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি, এজাতীয় রোগের কালোজিরা হচ্ছে একটি অপ্রতিরোধ্য ঔষধ। আপনি এর থেকেও মুক্তি পাবেন কালোজিরার সেবন করার ফলে ইনশাল্লাহ, তবে নিয়ম মেনে আপনি যদি কালোজিরা ব্যবহার অথবা সেবন না করেন তাহলে আপনার ক্ষতি হওয়া অস্বাভাবিক এর কিছু নয়।
৮. যৌন সমস্যা : নিশ্চয় আপনারা জলপাই এর কথা শুনেছেন একে আরবিতে জয়তুন বলা হয়। এই জলপাই এর উপকারিতাও অনেক রয়েছে, তাই আপনি যদি মধু এবং কালোজিরার তেলের সাথে এক টেবিল চামচ মাখন ও এক টেবিল চামচ জয়তুনের তেল মিশিয়ে প্রতিদিন তিনবার সেবন করেন তাহলে,আপনি আপনার যৌন সমস্যা থেকে মুক্তি সহ শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন ইনশাল্লাহ। তবে খুব বেশি সেবন করার ফলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই বিষয়টি খেয়াল রেখে সেবন করবেন আশা করি ফলাফল ভাল পাবেন ইনশাল্লাহ।
৯. আমাশয় নিরাময় : আমাশয় নিরাময়ে করার জন্যও এই কালোজিরার কোন বিকল্প নেই। আপনি এই আমাশয় নিরাময়ে করার জন্য নিয়ম মেনে কালোজিরা সেবন করলে সমাধান পাবেন। তবে নিয়মটি এক টেবিল চামচ মধুর সাথে এক টেবিল চামচ কালোজিরা মিশিয়ে নিয়মিত দিনে ২-৩ বার করে একমাস কন্টিনিউ করতে হবে।কারণ ফলাফল পাওয়ার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে কয়েক সপ্তাহের ভিতরে ফলাফল পাবেন ইনশাল্লাহ। তবে আপনি একমাস একটানা খাবার পরিকল্পনা করে শুরু করবেন অবশ্যই, আমাশয় নিরাময়ে এক মাসের ভিতরে সঠিক ফলাফল ইনশাল্লাহ পাবেন।
There are no reviews yet.